ধাতু ওয়েল্ডিং এবং কাটিং-এর সময় ইলেকট্রোডের আবরণ ও মূল ধাতু পুড়ে ধুয়া ও বাষ্পের সৃষ্টি হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে বিষাক্ত গ্যাসের সৃষ্টি হয়, যা শ্বাস-প্রশ্বাস এর মাধ্যমে গ্রহণের ফলে মানব দেহের ক্ষতি সাধন করে। বর্তমান সময় প্রায় সব ধাতুই ওয়েল্ডিং করা যায় এমন কী প্লাস্টিক বা প্লাস্টিক জাতীয় পদার্থও জোড় দেওয়া হয় এর ফলে নানাবিধ বিষাক্ত গ্যাসের সৃষ্টি হয়। যা শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা সৃষ্টি করে। আবার গ্যালভানাইজিং করা ধাতুসমূহ ওয়েল্ডিং করার সময়, সৃষ্ট ধুয়ায় জিঙ্ক অক্সাইড থাকে যা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যাঘাত সৃষ্টি করে, সম্ভব হলে গ্যালভানাইজড করা ধাতু খোলা জায়গায় ওয়েল্ডিং করতে হবে অথবা ধুয়া নির্গমনের উপযুক্ত ব্যবস্থা করতে হবে। এই বিষাক্ত গ্যাস থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য ওয়েল্ডারকে রেস্পিরেটর (Respirator) পরিধান করতে হবে।
আর্ক ওয়েন্ডিং এ যে ইলেকট্রোড ব্যবহার করা হয় উক্ত ইলেকট্রোডের আবরণ অথবা ফ্লাক্স সমূহের মধ্যে ক্লোরিনের যৌগ, সীসা, ক্যাডমিয়াম অথবা অন্য কোন বিষাক্ত পদার্থ বা বিষাক্ত গ্যাস উৎপন্ন করে, যা শ্বাস- প্রশ্বাসের ব্যাঘাত ঘটায় এবং মানব দেহের ক্ষতি সাধন করে। তাই ওয়েল্ডিং করার সময় পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে বায়ু নিষ্কাশন ফ্যান (Exchast Fan) শপে লাগাতে হবে ।
চিত্রঃ ৩.৪ শারীরিক বিপর্যয়
ওয়েল্ডিং বুথঃ আবদ্ধ কর্মশালায় যেখানে অনেকগুলো ওয়েল্ডিং বুথ বিদ্যমান, সেখানে পর্যাপ্ত ধুয়ার সৃষ্টি হবে। বিষাক্ত গ্যাসসমূহ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পত্রের সীমার মধ্যে রাখার জন্য নির্গমন ব্যবস্থার প্রয়োজন। এজন্য ফিউম এক্সজাষ্টার অভ্যন্ত উপযুক্ত সাধারণ অনুমোদন অনুযায়ী একজন ওয়েল্ডারের বুঝে প্রতি মিনিটে ২০০০ ঘনফুট বিশুদ্ধ বায়ু চলাচল করতে হবে।